![]() |
স্বৈরাসৃপ |
নাম: ড. রমিজউদ্দিন মানিক।
লোকটা একজন অলস, যাযাবর প্রকৃতির রসায়ন বিজ্ঞানী।
তার জন্ম হয়েছিল লক্ষ্মীপুরে। তার বাবার নাম আসিফ পাটোয়ারি। বাবার প্রতি ঘৃণার কারণে 'পাটোয়ারি' নামটা ব্যবহার করে না। মানিক ছোট থেকেই তার বাবার লাইব্রেরিতে পড়তে পড়তে বড় হয়েছে। স্কুলে ভাল ফলাফল কখনও আসেনি, কিন্তু তার মেধা ছিল অতুলনীয়। তার ফলাফলে আসিফ সাহেব এতটাই অসন্তুষ্ট ছিলেন যে প্রতিদিন তাকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে মেরে, পড়তে বসাতেন। নিজের সারাজীবন লেগে গেল যেই লাইব্রেরি গড়ে তুলতে সেটা জ্বালানোর হুমকি দেওয়াতে মানিক সাহেব এক সপ্তাহ নিজেকে ঘরবন্দি করে, দিনরাত এক করে পড়ে, বোর্ড পরীক্ষায় সমগ্র জেলাকে হারিয়ে দেয়। তবে তার পড়ালেখার প্রতি কোনো আগ্রহ কখনওই ছিল না। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল তার বাবার লাইব্রেরি রক্ষা করবার। আসিফ সাহেব সন্তুষ্ট হয়ে নিজের ছেলেকে জিজ্ঞাস করেছিলেন, "বাবা, বড় হয়ে কি হতে চাও? জজ নাকি ব্যারিস্টার?"
মানিকের উত্তর ছিল, বিজ্ঞানী।
কিন্তু আসিফ সাহেবে একথা হজম হয়নি। তাই তাকে আবার অত্যাচার করা হলো জঘন্যভাবে। চামড়ার বেল্ট এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে, তার পিঠে হতে শুরু করে চেহারার এক তৃতীয়াংশে দাগ বসিয়ে ফেললেন। এই অত্যাচারের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা দেখে অবাক, কিন্তু কিছু জিজ্ঞাস করতে গেলে কোনো জবাব পায় না আসিফ সাহেবের কাছে। চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে, প্রায় দুই সপ্তাহ মানিক অনাহারে কাটিয়েছে। কিছু খায়নি যে, তেমন কিছু না। কিন্তু তাকে কিছু খাওয়াতে হলে জোর করতে হতো। অবশেষে তার সমগ্র শরীর বেঁধে, স্যালাইনের বোতল চড়িয়ে রাখা হয়। এতে চার শরীরে পানির পরিমাণ যথাযথ থাকলেও, অনেকগুলো জরুরি খাদ্য উপাদান হতে সে বঞ্চিত হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে জরুরি খাদ্য উপাদান ছিল; ভিটামিন এ। দীর্ঘ সময় ধরে ভিটামিন এ না পাওয়ার ফলে তার রাতকানা রোগ হয়। পরবর্তীতে তা চিরস্থায়ী হয়ে রয়ে গেল।
তার মা; ফারিহা বানু ছিলেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আসিফ সাহেব উনাকে বিয়ে করেছিলই সম্পত্তি হাতানোর লোভে। সম্পত্তি হাতে পেতে বেশ কিছু বছর সময় লেগেছিল। ততদিন আসিফ সাহেব ছিলেন নিজের শ্বশুরবাড়ির চাটুকার। সম্পত্তি হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে গিরগিটির মতো রং পাল্টে, নিজের শ্বশুরবাড়ির সকলকে বের করে, অন্যায়ভাবে নিজের আধিপত্য বিস্তার করলেন। সম্পত্তির টাকা বেশিরভাগ পতিতালয়ে উড়িয় বেড়াতেন। সারারাত সেখানে কাটিয়ে, বাসায় ফিরতেন ভোরবেলায়। রাতে মানিককে একাই নিজের প্রতিবন্ধী মায়ের খেয়াল রাখতে হতো। একজন রাতকানা রোগীর জন্য একাজ কতটা কঠিন, তা শুধু সেই জানে। অসংখ্যবার চুলা থেকে পাতিল নামাতে গিয়ে তার হাত পুড়েছে। অসংখ্যবার সে বাড়ির কোনো এক কোণায় হোঁচট খেয়েছে। অসংখ্যবার সে একটা জিনিস নিতে গিয়ে, আরেকটা কিছু তুলে এনেছে। এতে যেভাবে ধীরে ধীরে তার অভিজ্ঞতা বাড়ছিল, ঠিক সেভাবেই তার বাবার প্রতি তার মনে ঘৃণার পরিমাণও ক্রমান্য়ে বেড়ে যাচ্ছিল।
প্রতিদিন ঘৃণা বাড়তে বাড়তে, সে এক পর্যায়ে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সব কষ্ট গোড়া থেকে শেষ করে দেওয়ার। আসিফ সাহেবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রটা শুরু করলো সেই রাতের আঁধারে যা তার চোখে আরো বেশি ঘন। সে দিনভর বসে বই ঘেঁটে নানান প্রাণহানি কেমিক্যাল সম্বন্ধে জানলো, যেগুলো একজনকে কোনো প্রমাণ ছাড়া, নীরবেই মেরে ফেলতে পারবে। তবে এমন সামগ্রী তার হাতের নাগালে না থাকায়, সে অন্যভাবে ষড়যন্ত্র করলো। মানিক প্রতিদিন নানান ঔষধের দোকান থেকে বোটক্স এবং সায়ানাইডযুক্ত ঔষধ কিনত। একই দোকান থেকে কিনলে তদন্তের বেলায় তাকে সন্দেহ করতে পারে। তাই একেক সময় একেক দোকান থেকে কিনেছে নানান অজুহাতে। অবশেষে দুমাস পর সে ঐ বিষ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। বিষটা সে আসিফ সাহেবের সিগারেটের ভেতর অবস্থিত তামাকের সঙ্গে মিশিয়ে, সেটা ফেরত রেখে দিল। এ কাজটার জন্য সে যথাযথ সময় পেয়েছিল কেননা তখন আসিফ সাহেব গোসল করছিলেন। এতক্ষণে সে রাবারের গ্লাভস এবং সার্জিক্যাল মাস্ক পড়ে, এই পুরো কাজ শেষ করে, গ্লাভস এবং মাস্ক চুলায় পুড়িয়ে ফেললো। এরপর শুরু হলো অপেক্ষা।
প্রতিদিনের মতো সূর্য ডোবার পর আসিফ সাহেব রওনা দিলেন পতিতালয়ে যাওয়ার জন্য। এ দৃশ্যে প্রতিদিন আসিফের চেহারায় থাকত বেদনা, কিন্তু সেদিন ছিল হাসি। সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বসে, তার প্রতিবন্ধী মাকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ বসে সময় কাটাল। শুধু অপেক্ষায় ছিল, কখন সেই সিগারেটের প্যাকেট বের করা হবে, কখন আসিফ সাহেব তার ধূমপান করবেন, কখন তার বাসায় খবর আসবে যে তার অত্যাচারী বাবা এই দুনিয়াতে আর নেই।
প্রায় দুঘণ্টা অপেক্ষার পর সে এই সুসংবাদ পেল। তবে আরো জানা গেল, সেখানে শুধু আসিফ সাহেব একা মারা যায়নি। সেই সিগারেটে মিশ্রিত বিষ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে উনার সঙ্গে যে পতিতা শুয়ে ছিল, সেও মারা গেল এবং যারা তাদের মৃত্যুর প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে অবস্থিত ছিল, তাদের কেউ কেউ একইভাবে মারা গিয়েছে এবং কেউ কেউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। অর্থাৎ সেই বিষের প্রভাব তার কল্পনার চেয়েও বেশি মারাত্মক ছিল।
আসিফ সাহেবের মৃত্যুর বার্তা পেয়ে, অভিনয় করে কেঁদে কেঁদে, সেদিন সে সবার সামনে নিজের নষ্ট বাবার প্রতি মিথ্যা ভালবাসা প্রকাশ করল। সকলে তাকে দেখে হয়রান হয়ে গেল। এমন অত্যাচারী বাবার মৃত্যুতে সাধারণত কেউ খুশী না হয়ে থাকলেও অন্তত এতো কাঁদে না। মানিক সেদিন থেকে সারা দুনিয়ার সামনে একটা মুখোশ ধারণ করল যার পেছনের রহস্য সে একাই জানত।
আসিফ সাহেবের মৃত্যুর পর, উনার সকল সম্পত্তি সে তার নিজের নামে করে নিল উনার দস্তখত নকল করে। এভাবে ধীরে ধীরে তার লালসা বাড়তে লাগল। সে আরো বেশি ক্ষমতার অধিকারী হতে চাচ্ছিল। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল নিজের রাজত্ব স্থাপন করার। তার গ্র্যাজুয়েশনের কিছু সময় পূর্বে তার প্রতিবন্ধী মাও মারা যায়। সে বুকে বিশাল কষ্ট নিয়ে তার মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য এগোয়। তার পথে প্রতিযোগিতার মতো কেউ ছিল না।
আমি আর মানিক ছিলাম একই কক্ষে। আমি ছিলাম একজন গর্বিত মেয়েবাজ। ভার্সিটির ম্যাডামের সঙ্গেও আমার পরকীয়া প্রেম চলছিল। একদিন মানিকের পাশে বসে ক্লাস করলাম। খেয়াল করলাম, তার চোখ বইয়ের দিকে থাকা সত্ত্বেও তার মন ছিল অন্য কোথাও। তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞাস করলাম, "কি ব্যাপার? কোনো বিষয় নিয়ে মন খারাপ? ছ্যাঁকা-ট্যাকা খেয়েছ নাকি?"
সে আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, "ভাই, পড়ছি। পড়তে দাও।"
আমি মুচকি হেসে বললাম, "এখানে বাকি সবাই এতটা অন্ধ হতে পারে, তবে আমি মোটেও এমন না। আমি মানুষকে দেখেই বলতে পারি, কার মনে কি চলছে।"
"তাই?"
"হ্যাঁ।"
"বাহ্! সুন্দর জাদু পারো তো। একদিন সময় করে আমাকেও শিখিয়ে দিও।" সে বললো রসিকতার ভঙ্গিতে।
আমি তবুও তার চোখে স্পষ্ট দেখতে পারছিলাম, তার মন মোটেও ভাল না। একটু গম্ভীর কন্ঠে, নিম্নস্বরে জিজ্ঞাস করলাম, "কোনো ফ্যামিলি ম্যাটার নাকি?"
সে বিরক্তির সঙ্গে আমার দিকে তাকালো। আবার মাথা ফিরিয়ে, নিচের দিকে তাকিয়ে বললো, "ফ্যামিলিই নেই! ফ্যামিলি ম্যাটার কোথা থেকে আসবে?"
তার বেদনাদায়ক কন্ঠ শুনে, আমি চুপ হয়ে গেলাম। ক্লাসের শেষে তাকে নিয়ে গেলাম ক্যান্টিনে। সেখানে দুজনে কিছু জাংকফুড খেলাম এবং নিজেদের সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পেলাম। আমি তখন জেনে অবাক হলাম যে আমিই তার জীবনে প্রথম এক বন্ধু হলাম। বাকি সবাই নাকি তার ব্যবহার দেখে এমনিতেই দূরে সরে পড়ে। তবে আমি যখন তার প্রতি বন্ধুত্বর হাত বাড়াই, তখন সময় এবং পরিস্থিতি তাকে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেয়নি।
আমরা এরপর থেকে ক্লাসে একসঙ্গে বসা শুরু করলাম। প্রতিদিন এক বেঞ্চে দুজনে গল্প করতাম। সে আমাকে আমার থিসিস পেপারে অনেক সাহায্য করেছিল। তার প্রতিটা বিষয়ে এমন জ্ঞান ছিল যা দেখে আমি পুরোপুরি হয়রান ছিলাম। এ বিষয় লক্ষ্য করে, একদিন তাকে জিজ্ঞাস করলাম, "তুমি তো দেখি সবই পারো! সারাদিন পড়াশোনার মধ্যেই থাকো নাকি?"
সে কোনো উত্তর না দিয়ে, আমাকে একটা প্রশ্ন করে বসল, "তুমি যে সারাদিন মেয়েদের কোলে শুয়ে থাকো, এতে কি আনন্দ পাও?"
"এখানে এই কথা আসলো কোথা থেকে?"
"আমার জানার অনেক ইচ্ছে হয়। একটু বলো না! কি মজা পাও এতগুলো মেয়েকে খুশি রাখার ঠেকা নিয়ে?"
"তাদের খুশি রাখার ঠেকা আবার কে নিলো? আমি তো নিজের বিনোদনের জন্য তাদেরকে রেখেছি।"
"তারা কি তোমাকে নিয়ে কোনোভাবে অসন্তুষ্ট?"
"না।"
"তারা কি তোমার এই স্বভাবের ব্যপারে জানে?"
"না।"
"তারা জানলে কষ্ট পাবে না?"
"হ্যাঁ। তা তো অবশ্যই পাবে। পৃথিবীর কোনো মেয়েই এটা সহ্য করবে না।"
"তাহলে তাদের কাছ থেকে ব্যাপারটা গোপন রাখা তো শুধু তাদেরকে কষ্ট থেকে রক্ষা দেওয়ার কাজে আসে। এতে আমি তোমার কোনো লাভ দেখি না।"
"তারা জানলে তো আমার উপর মামলা করে ফেলতে পারে, তাই না?"
"হ্যাঁ। তা তো পারে, কিন্তু আমি তো এখন নতুন করে জানানোর কথা বলছি না। আমি তো সবকিছু শুরু হবার আগে জানানোর কথা বলছি। শুরু থেকেই যদি তাদেরকে বলে রাখতে যে তুমি তাদের সঙ্গে প্রতারণার ইচ্ছা পোষণ করো, তাহলে তো তারা মামলা করার বাহানা পেত না। কিন্তু তুমি তো সব গোপন রাখার ফলে এখন এই ভয়ে আছো। অর্থাৎ তুমি এখন তোমার কাছে একটা কারণ আছে যা থাকতো না যদি তুমি শুরু থেকেই তাদের জানিয়ে রাখতে। এখন হুট করে জানলে, তারা কষ্ট পাবে এবং অবশেষে তোমার উপর মামলা করে বসবে। ফলে তুমি আরামে নয়, আতঙ্কে জীবন কাটাচ্ছো।"
"তোমার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে, তোমার জন্য এটা কোনো ব্যাপারই না! কখনও নিজে এমন করে দেখাও, তাহলে মানবো।"
"আচ্ছা! তোমার কাছে এটা অসম্ভব মনে হয়?"
"অসম্ভবই তো! একাধিক মেয়ের সঙ্গে সবকিছু জানিয়ে থাকা যায় না।"
"তুমি কল্পনা করতে পারো?"
"হ্যাঁ। অবশ্যই পারি। কিন্তু এসবের মধ্যে কল্পনার কথা আসলো কোথা থেকে?"
"কল্পনার কথা জিজ্ঞাস করলাম, কারণ তোমার কথার মধ্যে নেতিবাচক ভাব প্রচুর। যার কল্পনা করার ক্ষমতা যত বেশি, সে তত বেশি ইতিবাচক থাকে।"
"আচ্ছা! তাহলে এতক্ষণ ধরে আমার কল্পনা করার ক্ষমতা পরখ করছিলে?"
"না।"
"আমি আসলেই জানতে চাচ্ছিলাম।" বলেই এক বড়সড় মুচকি হেসে বললো, "কিন্তু এমনটা করার ইচ্ছা আছে?"
"এমনটা করা গেলে তা আর কথাই ছিল না!"
"আহ্হা...! সেটা বলছি না। তোমার ইচ্ছার কথা বলো।"
"হ্যাঁ, আছে।"
"তাহলে এমনটা করার জন্য তুমি কি কি করতে রাজি আছো?"
"কল্পনায় নাকি বস্তবে?"
"উভয়ে।"
"আমি তো কিচ্ছুও করতে রাজি আছি।"
"নিজের প্রাণ দিতেও রাজি?"
"আমার প্রাণ দিয়ে দিলে এসবের কি লাভ?"
"আচ্ছা! তাহলে এই প্রসঙ্গে কিছু সময় পর আলোচনা হবে। চলো, চা খেয়ে আসি।"
অতঃপর আমরা বাসার পাশের চায়ের দোকানে গিয়ে দু কাপ দুধ চা খেলাম তার প্রিয় নুনতা বিস্কুটের সাথে। আমরা কিছুক্ষণ আমার নানুবাড়ি নিয়ে কথা বললাম।
আমি আমার নানুবাড়ির সম্বন্ধে সব বললাম যা মিরপুরে অবস্থিত। সেখানের বস্তির মাঝে অন্যতম এক রাজপ্রাসাদ। দোতলা দালান, বাড়ির মেইন গেটের ভেতরেই এক বড় আঙিনা যার চারিদিকে উঁচু ধূসর রংয়ের দেয়াল এবং সেই দেয়ালের উপর পেঁচানো কাঁটাতারের বেড়া। সমগ্র বাড়ির জমির মাপ হবে প্রায় দুই একর। তখনকার সময় আমার নানা খুব শখ করে ঘরটি বানিয়েছিলেন। এখন সেখানে থাকার মতো কেউই নেই। নানু মারা যাবার পর থেকে শখের বাড়িতে তালা মারা প্রায় ছয় বছর ধরে। কথায় কথায় তার নানুবাড়ির কথা উঠলো। তখনই সে আমাকে তার ছোটবেলার সব বেদনাদায়ক গল্প বললো। কিন্তু আসিফ সাহেবের হত্যার ব্যাপারটা তখন বলেনি। তার বাবার মৃত্যু কিভাবে ঘটল তা জিজ্ঞাস করাতে আমাকে বললো রাতে দেখা করতে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কেননা সময় ছিল প্রায় বিকেল চারটা। আমি বাসায় গিয়ে, দুপুরের খাবার খেয়ে, কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে, রাত নটায় গেলাম মানিকের সঙ্গে দেখা করতে।
Comments
Post a Comment